কবিতা
দুপুরের প্রবাদ
ভিজে আছে মাটি, মানুষের বায়বীয় ক্রন্দনে। ফুটো বেলুনের গোঙানি, বাতাসের থিম সং
যাযাবর ভুলে গেছে জাতীয়তাবাদ। জীবনের একটা কার্ভ লাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছে, ইউটোপিয়ান প্রেমিক
অবিনশ্বর ঘ্রাণের কোরাসে, তলিয়ে যাচ্ছে গোলাকার এস্টাবলিশমেন্ট
শতকোটি গাঢ় ছায়ার যোগফলেও, একটি রাত হবে না পৃথিবীর, রাত আসলে ততোটাই মৌলিক। অথচ তুমি বুঝতেই চাইলে না
প্রতিবার মেহমান পাখিদের ঋতুতে, কমে যায় পৃথিবীর বয়স। ঘুমোতে গিয়ে বারবার তাই পেয়ে যাও, আরামের বালিশ
কারা যেনো গিলেছে দুপুরের প্রবাদ
যারা মগজখানার ক্লান্ত শ্রমিক। কোলাহলের ভেতরে ফুটিয়েছে নৈঃশব্দ্যের হুল
মনোতান্ত্রিক
সিদ্ধহস্ত দাবাড়ুদের পাড়ায়
ঘোড়ার আড়াই চালে পিষ্ট হইতে হইতে
প্রতিটা রাইত লুকায়া যাইতেছে
লাল লাল খিলানের আড়ালে।
সূচিপত্রের ঘাড় ধইরা
এইসব দিনের নিয়মমাফিক আসাযাওয়া
আসলে একটা বেশরম প্রক্রিয়া।
হৃদয়টারে দিয়া আসো কসাইখানায়
বয়ামের ভিতর নেতায়া যাওয়া বিস্কুটের মতো
মনটারে নিয়া অপেক্ষা করো-
একটা হৃষ্টপুষ্ট শরতের ওয়েদারের জন্য।
একটা মনোগ্রামের বিকাল
ক্যামনে জানি আসতেছে আর চইলা যাইতেছে
ধরতে পারতেছি না। তুমি কি ওই বিকালটার কিছু লাগো?
একটা নদী যে তিনরাত্রে, সূর্যরে খায়া নিছে
এই খবর কি পেপারওয়ালারা তোমার কাছে পৌঁছায়া দেয় নাই?
এই গ্রেট ডিজাস্টারের দুপুরগুলা
তোমার বাসার কোনো অডিও প্লেয়ার থাইকা
কখনোসখনো কি বাইজা উঠে না!
খোঁজ করো পাতাবাহার
আমি বিপদগ্রস্ত লাদাখের হটস্পট
তোমার জিয়নকাঠি কি হারিয়ে গেছে?
ফাংশন
দলে দলে দিন
দলে দলে রাত
আসে আর বসে
বসে আর যায়।
দিঘিটার পাশে
অগণিত ঘাসে
কথারা আসে
ব্যথা সব যূথচারী।
তবুও একদিন
একরাত তবুও
হৃদয়ের বাড়াবাড়ি।
খয়েরি দুপুরে ব্যথার মহড়া
রাজু ভাস্কর্য থেকে রিকশা নিয়েছি
রিকশাওয়ালা কানে কম শোনে
তার সাথে হাত দিয়ে কথা বলে, ভাড়া ঠিক করলাম
যাচ্ছি নীলক্ষেতের দিকে।
ভিসি চত্বরের কাছাকাছি আসতেই, এক দূর্ঘটনা
একজন তার বন্ধুর শাদা ওড়নাতে
চা ফেলে দিয়েছে
হঠাৎ করেই তাদের দুপুরটা
খয়েরি হয়ে গেলো।
নীলক্ষেতের কাছাকাছি এসেই
পড়ে গেলাম সিগন্যালে
তখন ঠিক দুপুর একটা।
হঠাৎ করেই
যোগাযোগহীনতায় আক্রান্ত-
ভাঙা গলায় একটা শাদা সারস
কয়েক মহাদেশ দূর থেকে চেঁচিয়ে উঠলো।
শহরের আদ্যোপান্ত মানে
তোমার উদযাপনের আড়ালে
নিঃসঙ্গ ব্যথাদের মহড়া।