কবিতা
ক্রমশ
দূরত্বের নামতায় বৃক্ষের পাতাগুলি পিচ্ছিল গল্প, ক্রমশ
আলেখ্য ভাষাহীন অথচ বাতাস ছিলো দীর্ঘ থেকে দীগন্তহীন।
হাওয়ার পরিসরে ছড়িয়ে পড়ছে নদীর মতো বিস্তৃত হয়ে-
স্পর্শের আলোড়ন।
ঋতুচক্রে সয়ে যাচ্ছে যদিও প্রিয় যে বেদনারা আমাতে আশ্রয় নেয়
জানে না জলপত্র,
ছায়ারা বিছানা ছেড়ে গেলে-
মানুষ আর ঘরে ফেরে না..
তখনও নিরব থাকবে
মানুষই বানায় ভিন্ন ভিন্ন দেবালয়, মানুষের জন্য
দৃশ্যত পাখিরা দেবালয়ের মতলব বোঝে না আর বোঝে না বলেই
হাইফা থেকে উড়ে যায় হেবরন, মৃত্যু উপতক্যা
নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে রইল আগুনে.. বারুদে
গোটা পৃথিবী দ্যাখে অথচ কেউ কাউকে চিনি না,
প্রাচীন গুহা চিত্রের মতো চিরস্থায়ী; বিস্ময়ে কাঁপে বুকের জমিন
ঘুমন্ত সন্ধ্যার দিকে নদী ঘুরে গ্যাছে..
কেবল এক টুকরো মাটি চাই বারুদের গন্ধহীন
বলেছি কি- মসজিদ অথবা গীর্জা বেছে নিতে?
মৃত্যু সে তো প্রতিটি পাতায় বেদনাময়, ইহুদী কিংবা মুসলিম।
কোনো সমস্যা নেই, শকুন দেখে খুঁজে নাও স্বজনের লাশ
এইভাবে বেঁচে আছি.. অথবা নেই, আমাদের শহরে
আমি ও ঈশ্বর!
তোমরা কি তখনও নিরব থাকবে
অপ্রস্তুত মৃত্যু তোমার বাড়িতে এলে?
ফেরারি সকাল
ধরো যদি হঠাৎ সকালবেলা
হেমন্তের অর্কেস্ট্রা বাজিয়ে ফেরারি হলো পাখি
হিমঘর সম্পর্কিত ব্যাকরণ ভেঙে,
পৃথিবী তখনও দেয়নি নদী বা মদের শিরোনাম
তথাপি দুজন
মাস্তুল তুলে সমসাময়িক জলজ হয়ে গেলো।