কবিতা
অয়ন্ত ইমরুল
রাজহাঁস
ফুরিয়ে এসেছে প্রায় উজ্জ্বলতা যেসব
সূর্যমুখীদের
পাপড়ির নিচে তিমির ঘরানার ঢেউ
উপচে পড়ার পরপরই দেখা গেল হাসির অন্তরালে
রাজহাঁস কেমন গলা বাড়িয়ে তোমাতে খলবল রেখে ঘ্রাণেই সেরে নিচ্ছে স্নান
দেখতে দেখতে স্নানের জল সমস্ত ভূমিতে
গড়িয়ে গেল
ছড়িয়ে গেল
ব্রোচ খুলে নেয়া আঙুলগুলো
আঁচড়ের ভূগোল দেখিয়ে উঠে দাঁড়াতেই
আরক্ত পথের মুখোমুখি
অস্তের লাল পেয়ে প্রায় সন্ধে বাড়ির পথে
একটু পরেই আমরা গাইব অমাবর্ষা…
ঘন দুপুরে
তন্দ্রার সময় তোমার ছায়া; জানলার ঐ পাশে—
দুপুরেয় নিমঘুঘু,
নিমগাছ তোমাদের—
দুলে ওঠার পূর্বে প্রফুল্ল হাওয়ার খুব শোঁ
পেন্ডুলামের দোলের ভেতর দিয়ে সময়
সে এক টাট্টুঘোড়া—
ধূলি উড়িয়ে চারপাশ ধূলিসাৎ করে ফেলে
সাহস আঁকড়ে ধরে কখনই যাওয়া হয় না
ও রকম ধূলিওড়া দিনে,
অথচ ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর সুখ
লেপটেই রইল তোমার ফ্রকে আর ব্রজবুলবুলি
আজও ঝড় হয়
ডালাপালা ভেঙে যায়
স্মৃতি মিলিয়ে যায় স্মৃতির নগরে
তারপর শান্ত চোখ
পৃথিবীর সমস্ত রূপকথার ভেতর ঘুমিয়ে পড়ে…
