কবিতা
অয়ন শাহ্
ব্যাবিলন বন
বনের ভেতরে মানুষ ডেথ সার্কেলে পড়ে যায়, পথ খুঁজতে খুঁজতে মসৃণ মায়ার তন্তুতে ঘিরে
এই বনের পত্রশিরা অবধি তোমার সঞ্চালন। তোমারই শরীরে রক্ত যেমন দৌড়াচ্ছে মাথা থেকে পা
তোমার প্রতিটা লোমকূপ থেকে, পাকা ধানের রঙের মতো তীর্যক রোদ এসে বিছিয়ে পড়েছে, বৃক্ষ ও মাটিতে ছড়িয়ে থাকা মড়মড়ে পাতায়
তুমি এই বনের রোদ দাত্রী দুপুর, মৃত্যু অবধি ঘিরে আছি মসৃণ তন্তুতে
যেনো ডেথবেড থেকে সেরে উঠেছে পৃথিবী, তুমি নতুন পৃথিবীর বুক চিরে দৌড়ে যাচ্ছো চঞ্চল। শরীর থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে রোদসমেত কণা কণা দুপুর
মিস করতে থাকি— অ্যা ক্লাস্টার অব ইউনিভার্স যতোটা শূন্যতা নেয়, পরিমাণে তার থেকেও কিছুটা উচ্চতা বেশি। তোমারে মিস করতে থাকি, অন্য ডাইমেনশনেও
দুপুর, ২৫
কনস্ট্রাক্টেড নগরের ফাঁকফোকড়ে সূর্য গলে গলে ছড়ায়া পড়লে, তোমারে ভাবতে বসি। তখন আমাদের কানের পাশ দিয়ে একটা ভিনদেশি শিশু, সোনালি বাবল্সের চুলে দৌড়ায় তার স্রষ্টারে ডাকতে ডাকতে। আমরা এই বেমক্কা শহরটার মতো আতঙ্কিত হই। তোমার মনখারাপের চোখে, হঠাতশটাত চোখ পড়ে গেলে হিম হয়ে আসি। পৃথিবীর বিধ্বস্ত পোড়া মাটিতে, একজোড়া নবজাত শুভ্র পা যতোটা হিম। নেবুচাদ হইলে, তোমারে তেমন একটা বন দিতে পারতাম। যেহেতু আমি এই ভাঙোমান সভ্যতার প্রতীকমাত্র, সেহেতু তোমারে শাদা পাতায় কালো বর্ণমালা। পৃথিবী থেকে এক থাবায় মানুষের এক গ্রাস জীবন তুলে এনে, বাগানে ছুড়ে মারতে ইচ্ছা করে। তারপর আমরা সেই বাগানের পাশে এক বন বুনি, বনপথে মুছে যাক ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, বাংলা পৃথিবীর সব মায়েদের দুঃখ
ব্যাবিলন বন
এই বন এতো নীরব, এতো চুপচাপ। বনে শব্দ ঝড়ে পড়ে টুপটাপ। কখনো তুমি চলেছো, ঝরঝরে পাতায় তোমার পা পতনের সুর
তুমি হাঁটছো, অপূর্ব হাসছো। হাসতে হাসতে নিদারুণ জল আসে তোমার চোখে। কখনো সুর, চোখ থেকে জল পতনের
ওদিকে রোদছায়া পথ ধরে, চলেছো হেঁটে। অর্ধেক রোদ আধেক ছায়া নিয়ে, রোদছায়া কেটে কেটে
গভীর এক খাদ পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছো, খুব সাবধানে। একটু দূরেই, কি দূরন্ত
ওদিকে ছলছল প্রপাত কেটে, তোমাকে দেখবো। তুমি কতোটা দূরন্ত জলের ধারা
