কবিতা
আতিকুর রহমান হিমু
বিরামচিহ্ন
অস্ফুটত জঁবায় তোমাকে লিখবো—
সাদা কাগজে জড়ো করি মখমল মেঘ,
চাঁদের টুকরো জানালার ভাঙা কাঁচে
বাউল তারাটা নিভে আসে, মৃতদের গান
বুকে কোন নদী হেঁটে যায় অন্ধকারে, মৃদু বাতাস
চৈত্রের মাটিতে ঝরায় কিংশুক; শব্দরা দূর্লভ
হয়ে যায় ক্রমে, ভাষা দ্বিধাথরথর;
তোমকে লিখবো বলে
বিরামচিহ্নে দাঁড়িয়ে আছি, ঈশ্বরী।
হৃদকমল, তোমাকে…
ময়ূর মেঘে সন্ধ্যা নামে
আজানের অজানা রাগে
অরণ্যের ডালে পাতায়
কেমন যেন মায়া লিখে
প্রাথর্নার তৃষ্ণায় আমি
তোমাকে ছুই, চাঁদ ওঠে-
পথে জ্যোৎস্নার নকশা
বুনো ফুলের পার্ফিউম
একটা পাখির গান
আকস্মাৎ বুকের ভেতর
কিউপিডের তীরের মতো
তোমার মুখ গেঁথে দিয়ে
উড়ে যায় দিগন্তে
কিংবা তুষখালির তীরে।
ভ্রমণ
হরিণঘাটা কিংবা হিমছড়ি
চুপ সন্ধ্যায় সমুদ্রের কার্ণিশে
তুমি মেঘ মাখো খোলা চুলে
হারিয়ে যাবার গল্পে আমি
ভেসে যাই ঢেউয়ে ফেনায়
রাত পাখির ডানার আলোয়
একটি গান ঝরে পরে
একটা তারার মৃদু ঘ্রাণ
বুনো হাওয়ার অরণ্যে
নিশিন্দা ফুল খোঁপায় গুজে
তুমি আমার আকাশ হবে?
