কবিতা
মোঃ মনোয়ার খান
বর্তমান
একটা গভীর চেতনার দিকে মানুষ মরে যেতে চায়।
প্রভুত্বের সমস্ত স্থবিরতা চুষে নিয়ে
আমি দারস্থ হই অলির বুকে কয়েকটি স্টেশনারি ঘুরে,
ঘুম পায়
আবার একটি দীর্ঘ অন্ধকারের খোঁজে সার্চলাইট শুরু হয়
একটি মাটির পৃথিবীর মত শুদ্ধ ঘ্রাণে মাংসাশী শরীর বেড়ে ওঠে।
ইহকালের কোমড়ে দঁড়ি বেঁধে
আমি আবার দারস্থ হই মাতৃত্বের দুগ্ধ স্নানে_
পলাতক হই নীল জোছনায়
আবার একটা কুৎসিত বালিশে মাথা ঠেকাই _ মাথা ভর্তি পরমাণু
আবার একটা চেতনার গাড়িতে চড়ি_ তেল খরচের কথা উঠলেই চেতনা নেমে পড়ে স্টেশন বাই স্টেশন।
আবার একটা সঙ্গমের বাতাস বইতে শুরু করলে ছত্রভঙ্গ মানুষের হত্যা বৃত্তি জেগে ওঠে,
মানুষ কল্যাণ ছেড়ে কেয়ামত কেয়ামত বলে চিল্লায়।
আবার একটা দেয়াল ঘড়ির পরকাল_ টাঙিয়ে রাখি।
সোলমেইট
এবার শীত তন্নতন্ন করে খুঁজে পেলাম বিড়ম্বনা।
বিড়ম্বনার মত ধারালো ছুরি আমি কোথাও দেখিনি।
কঙ্কালের মত বিষাদ কেও কয়েক টুকরো টুকরো করে
দিয়ে যাচ্ছে।
সন্ধ্যার ছাঁদে কয়েক রকম বিচ্ছেদ পড়ে থাকার পর
বিড়ম্বনার চাদর গায়ে মাখতে পেরেছে
আমার মত অব্যবহারিক পুরুষ।
পুরুষ হবার যত সম্ভাবনাময় উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম
পতিতালয়ের দিকে তাকিয়ে তা ব্যর্থ হলাম।
পতিতালয় আমার জন্য বিড়ম্বনা এনে দিতে পারেনি বলে
তাকেও ছেড়ে গেলাম।
একবার গাছকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তার রাতে ঘুম হয় কি-না?
গাছ বলেছিল ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজন মৃত্যুর।
এবার ভালো ঘুম কে আমার সোলমেইট মনে হল।
