মৎস্যজিরাফ
মিনু মৃত্তিক
রাতগুলো এমন যে ভোরকেও সে তার কোলের কাছে টানতে
চায়। কিছুতেই একা ছাড়তে চায় না, মায়েদের মতো। সেই ভোর
যে মায়ের কোলে সযতনে আটকে আছে তার ঠোঁটে আহ্লাদে
ভেসে ওঠা হলুদ শিশিরবিন্দু থেকে যে চিকোন সূর্যরশ্মি বের
হোয়ে এসে তার চোখে চুলের ডগার মতো শিষ ফেলে, তখন সে
চমকে ওঠে। তার সারা শরীরে ঝালাই এর শব্দ এফোড়-ওফোড়
হোয়ে মাটিতে গেঁথে যায় এমনভাবে যে সে আর নড়াচড়া
করতে পারেনা। সে যখন ছোট ছিলো তখন একবার তার মাথার
ভিতর কিছু ঝামেলা জোট পাকিয়েছিলো। সে আতি আর এ
আতি একই জন তবে পাল্টেছে কণ্ঠস্বর, শরীরের গঠন আর
রাগের হুলো। কোনো কিছুই তার মনমতো হয়না এখন,
সবকিছুই তার বিরুদ্ধে চলে যায় যেন। সে যা বলে তা-ও কিভাবে
যেন সকলে বিদ্রুপের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে চায়। তার ভালো
লাগেনা, সে শামুকের মতো গুটাতে থাকে নিজের ভিতর।
সমাজটাকে, নিজেকে, নিজের শরীরটাকে যে শরীর দিনকেদিন
মেয়েলিপনার বাহানায় ভরপুর হোয়ে তাকে কোণঠাসা কোরে
ফেলছে, সেই শরীর সে আর বয়ে বেড়াতে চায় না। সে বাইরে
গেলে ঘরে ফেরার জন্য হাসফাঁস করে ওঠে আর ঘরে থাকলে
দরজা জানালা বন্ধ কোরে মৃত্যুর পরের জীবনের কল্পনায়
নিজেকে সিংহাসনে বসিয়ে শাসন করে নিজেকেই।
সেইরাতে তার ঘর তাকে সহ্য করছিলো না, তাকে ঠেলে বাইরে
বের করে দিলো অন্ধকারের ভিতর। আকাশের দিকে তার
অজান্তেই চোখ চলে যায়। সন্ধ্যার একটু পর থেকে গভীর রাত
অবধি সে মাঠের মধ্যে একা একা ক্ষেতের আলের উপর বসে
কিছু একটা খুঁজছিলো আকাশের সাদা-নীল পৃষ্ঠায়। তার কিছু
কৌতুহল ছিলো বহুদিন ধরে- আকাশের গল্পপাঠ। আকাশের
পরিবেশ কি কোরে পাল্টায়- লেজওয়ালা তারাটি কি কোরে
লেজহীন হোয়ে যায়, কতোটা সময় পরে সাতটি তারা একসাথে
মিলিত হয় আবার যার যার মতো ঘরে ফিরে যায়- এরকম
কতোগুলি কৌতুহল তাকে প্রায়ই নেশার মতো বাইরে টেনে
এনে ফাঁকা মাঠের মধ্যে দাঁড় করাতো, চুপিচুপি সে উপভোগ
করতো জীবনের নামতা। তার কৌতুহল স্বাভাবিক ছিলো, অন্য
সকলের মতো। ওই বয়সে সকলেরই এরকম একেকটা বাতিক
ভর করে আর সে লাভ করে বিচিত্র সব অভিজ্ঞান। কারো
অভিজ্ঞতা তার জীবনের সমানও হোতে পারে আবার জীবন
পেরিয়েও যেতে পারে। তাকে প্রস্তুত হোতে হবে অমোঘ
অভিজ্ঞতার মুখোমুখি দাঁড়াবার জন্য।
সে নিজেকে গুটাতে থাকে নিজের খোলসের ভেতর।
চারপাশের চোখ তার দিকে, তার গায়েগতরে গেঁথে যেতে দেখে
সে সঙ্কুচিত হোতে থাকে শামুকের মতো। সে মানতে পারেনা
নিজের প্রতি এই অবিচার আবার কাউকে শাসাতেও পারেনা।
তখন থেকে সে মনেমনে হননের দিকে ধাবিত হয়, হননেচ্ছাই
তাকে আরো বেশী কোরে বাঁচিয়ে রাখে। পুকুরে ডুব দিয়ে সে
আর উপরের দিকে উঠতে চায় না, কিন্তু পারেনা। কে যেন
তাকে চুলের গোছা খামছে ধরে উপরের দিকে টানতে থাকে। সে
হাপিত্যেস করে দোম উগরাতে থাকে। সে জনসম্মুখে কথা
বলতে পারে না, নিজের কণ্ঠ নিজের কানেই বেজে ওঠে ভাঙা
থালার মতো ঘ্যানঘেনে। কথা বলতে গেলে সকল শ্রোতার
গোগ্রাসী দৃষ্টি তার মুখের ভিতর ঢুকে যেতে থাকে। সে বুকের
মধ্যে বাতাসের বজ্র ছোবল টের পায়- রাতে ঘুমাতে পারেনা,
ঘুমও তাকে অশান্তিতে জালিয়ে মারে। বন্ধুদের মধ্যে কানাকানি
সে বুঝতে পেরেছে আগেই, কেবল মতি তার কাছে থেকে তাকে
সামলায় সকল রকমের হেনস্থা থেকে। তার শরীর কি তাকে
রেহাই দেয় তবু? তার অজান্তেই দুইহাত কখন এক হোয়ে শব্দ
তোলে টকাশ্ টকাশ্ কোরে আর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ
নিজেদের মতো কোরে খেলায় মেতে থাকে। সে থামাতে
পারেনা। সে বাইরে একদণ্ড থাকতে পারেনা। স্কুল থেকে বাড়ি-
বাড়ি থেকে মতিদের বাড়ি- মাঠ- একসাথে- মাঠ থেকে বাড়ি-
বাড়ি থেকে রাতেও মতির সাথে এক বিছানায় শোয়ার অভ্যাস
গড়ে ওঠে। এভাবে একদিন-দু’দিন কোরে তাদের মধ্যে
আত্মিক-শারিরীক সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তারা একে
অপরকে ছাড়া থাকতে পারেনা, এক বিছানায় জড়াজড়ি করে
শুয়ে কতো স্বপ্ন-গল্প-কল্পনা। একরাতে মতির বুকে মুখ লুকানো
আর রাতে হাত বেসামাল, পর রাতে আতির মাথায় আর কাজ
করেনা, সে কাপড় তুলে অবতীর্ণ হোয়ে যায় অবলীলায়, মতির
জোয়ালের সাথে নিজেকে জুতে দেয়…
যে রাতে আতি নিজের বাড়িতে একা থাকে সেরাতেই তার কিছু
অচেনা গ-গোল বেঁধে যায়- সে দ্যাখে, তার সামনেই একটা মাছ
লাফালাফি করে যার পেটের নাড়িভুড়ি সব বাইরের দিকে
বেরোনো, সে তাকে কিছু বলতে চায় কিন্তু কী তা সে জানেনা;
বুঝতে পারেনা। তবে সে এইটুকু আন্দাজ করে যে, মাছটা
কোনো কিছুর ইঙ্গিত- তার দুঃখ অবসানের দিন কি সন্নিকটে?
সে যতোবার এই দৃশ্য দ্যাখে ততোবারই সতর্ক হোতে চায়, তার
পরিবারের সাথে এর কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা মেলাতে
চায় কিন্তু কিছুতেই মিল খায় না। আরো বেশী কোরে মাছটার
বেরিয়ে আসা নাড়িভুড়ি তার মাথার মধ্যে পেঁচিয়ে যেতে থাকে
আর সে অনবরত ঢোক গিলতে থাকে যতোক্ষণ পর্যন্ত তার ওই
ঢোক গলায় বেঁধে না যায় ততোক্ষণ তার নিস্তার নেই বিভৎস
এই ছট্ফটানি থেকে। আর রেহাই পেলেই সে পরিবারের একান্ত
নিজস্ব মুখগুলোকে মনে করতে থাকে। মনেমনে, আনমনে
কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে মিশে যায় গোলাপের টকটকে গন্ধের
হাওয়ায়। তার বিমর্ষ সময় একলা একা আঁধারের খাঁচায় ছটফট
কোরে মরে। পোড়া কপাল তার!
জানালার পাশের গোলাপ ঝাড়ে কেমন এক পলকা দমকা বয়ে
গ্যালো সে টের পেলো, আর তার চোখের পাতা কয়েকবার নড়ে
উঠলো। এতোরাতে বাইরের পরিবেশ সে আন্দাজ করতে পারে,
বাইরের সবকিছু তার নখদর্পনে। তার পোষা পোকাটি ঝটপট
মাথার খোল থেকে বেরিয়ে ভোঁ ভোঁ কোরে বাইরে থেকে পাক
মেরে এসে তার চিন্তাকে উসকে দেয়। সে ফাঁক পেলেই তার
পোকাকে ছেড়ে দেয় ঘুমের মধ্যে আর বিচক্ষণ শব্দরাশিরা ভর
করে তার মাথার ভেতর। সেই শব্দরাশিরা অক্ষর জুড়েজুড়ে যে
জলপ্রপাত বানায় সেখানেই বেড়ে ওঠে এক বিশালাকার
মৎস্যজিরাফ যে মাথা তুললেই সবকিছু ভেঙেচুরে অন্ধকারের
হা বিভৎসভাবে তাকিয়ে থাকে যার গতিবিধি সে বা তার পোষা
পোকা কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি কখনো কিম্বা আবিষ্কার
করলেও তারা সেটাকে বশে রাখতে পারতো কিনা সে বিষয়ে
এখন আর ভেবে লাভ নেই- সে ভাবে। যেভাবে মানুষেরা স্বপ্নের
খোঁজে বেরিয়ে পড়েছে! দিবাস্বপ্ন তাদের ছোবল মেরে ঘুম
পাড়িয়ে রেখেছে বলে তারা টের পাচ্ছে না তাদের ঘুমের মধ্যে
সে তার পোষা পোকা চারিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে কি না। পুরো
পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে গেলেও মানুষের সাথে স্বপ্নের ফারাক
দিনদিন বেড়ে যাবে। তার পোকা প্রতিটি মানুষের ঘুমের মধ্যে
সূর্যের তীক্ষ্ণ রশ্মির ফালি ঢেলে দিয়ে বাজেভাবে বদঘুমে
কাটিয়ে দেয় সারাটা রাত আর সেই জেরে তার গোটা জীবন
চরকীর মতো ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াবে স্বপ্নের সোনার কাঠি রূপোর
কাঠির খোঁজে। পাবেনা পাবেনা স্বপ্নের খোঁজ, পাবেনা সে
কোনোদিন। গর্দভেরা হেঁটে যায় দ্যাখো, গর্দভেরা ফেরি কোরে
বেড়ায় তাজা মিথ্যের ছবক।
সে রাতের বেলা বাইরে বেরিয়ে আসে। মিথ্যে ভরা আশা-
নিরাশার দোলাচলে গোলাপঝাড় দুলেই চলে। সে
গোলাপঝাড়ের কোলের কাছে গিয়ে মাটিতে জাবড়ে বসে,
অন্ধকারের কালচে মনমরা ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখে
ওরা সকলে তার দিকে কি এক অবজ্ঞার ভঙ্গিতে তাকিয়ে
আছে। সে চমকে ওঠে, আহত হয়! তার মাথার ভেতর অগণিত
মানুষের মুখ থেতলে যেতে থাকে- বন্ধু, শিক্ষক, প্রতিবেশী,
পরিবার। সে মুচড়ে ওঠে! কঁকিয়ে ওঠে! আর গোলাপঝাড়
থেকে ফুলগুলো একে একে প্রজাপতির মতো জানালা
টপকাতে থাকে। ঘরের জানালার ওপাশে পুকুরের পানি যেন
ফুলেফুলে ওঠে, দুলে ওঠে। সে চোখ ফেরাতে পারে না পানির
কিনার থেকে। সেই মৎস্যজিরাফ যা তার নিজেরই সৃষ্টি,
নাড়িভুড়ি সমেত ডাঙার মাটিতে কেবলই আছড়াতে থাকে আর
কী এক করুণ সূরে ডাকতে থাকে কাকে যেন, তাকেই নয়তো?
এক চেনা কণ্ঠস্বর যেন দূর থেকে তাকে কাতর স্বরে আহ্বান
করছে মৃত্যুর কিনারে দাঁড়িয়ে! তার মাথার উপর দিয়ে ঝড়ো
বাতাস সাঁ সাঁ কোরে উড়ে যেতে থাকলো, সে তার বুকের
বাঁদিকে হাত রেখে বুঝতে চেষ্টা করলো তার হৃৎপিণ্ড কাজ
করছে কি না। তার ঠিক সামনে দিয়ে কাকে যেন দ্রুত হেঁটে
যেতে দেখলো, যেন তার শাড়ির আঁচল গায়ে বাতাস লাগিয়ে
গড়িয়ে গ্যালো পুকুরের অতলান্তের দিকে। সে যেন খুব পরিচিত
একটা গন্ধ টের পেলো আার সেই গন্ধে যেন সে অবজ্ঞার চিহ্ন
দেখতে পেলো। খুব বেশীদূর আর এগোতে পারলো না সে;
গোলাপঝাড় অন্ধকার ফুঁড়ে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হোতে শুরু
করলো।…সে, আতি, বিশ্রীভাবে জেগে উঠলো, নিজের শরীরের
ভিতর থেকে মতির নেতানো নরম মাংশপিণ্ডটা ঘৃণাভরে মুঠ
করে ধরে পানি থেকে মাছটাকে ডাঙার দিকে ছুঁড়ে দেয়ার মতো
করে বের করে দিলো। তার নিজেকে নিদারুণ অসহায় মনে
হলো!
সে খুব গোপনে রোদের ভিতরে তার ফুঁ ছুঁড়ে দেয় মন্ত্রের মতো।
তার চোখের চারপাশে যে কালির প্রলেপ তা ধীরে ধীরে মুছে
যেতে থাকে, সে টের পায়। তার চোখের কোণে তিরতির কোরে
কেঁপে ওঠে আর সে রোদের ঝাঁঝালো মেঘের ভিতর থেকে
কাউকে নেমে তার ঘরের ভিতর দরজা গলে মিলিয়ে যেতে
দ্যাখে। তার পরিজনেরা ঘর ছেড়ে রোদের ডানায় নিজেদেরকে
ভাসিয়ে দেয়, সাঁতার কাটতে থাকে। তার চিন্তারা আরো
জোরালো হয়, ব্যগ্র হোয়ে মুঠোমুঠো অক্সিজেন পেটের মধ্যে
ভরতে থাকে যেন অফুরাণ তার চাহিদা। সে অসহায় মূর্তির
মতো তার ঘরের দরোজাটার ঝাপটা শুনতে পেয়ে নিজের
মাথার শুকনো খুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় আর দাউদাউ শব্দের
প্রত্যাশায় গোলাপঝাড়ের দিকে ভীতু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে-
ধীরেধীরে তার ভয় কেটে যেতে থাকে। সে যেন গোলাপঝাড়ের
আড়ালে কার ছবি ভেসে উঠতে দ্যাখে আর ভরসা পেতে থাকে।
ধীরে ধীরে আতির পুরুষ হোয়ে ওঠার জেদ বাড়তে থাকে আর
মতির শক্তসামর্থ ফোস কোরে ধেয়ে আসা লিঙ্গটাকে নিজের
ভাবতে শুরু করতে থাকে। অবচেতনে মতিরও গতিবিধি
পরিবর্তন হোতে থাকে। দূরত্ব বাড়তে থাকে বন্ধুত্বের। মানুষ
তো! চৈত্রের দুপুরের বাঁকড়িরা এখানে এক খাপলা আবার
পরমুহূর্তেই একটু দূরে আরেক খাপলা পথের ধুলো উড়িয়ে
অন্য স্থানে পাক খেয়ে মিলিয়ে যায়। একসময় আতি-মতি
ধানক্ষেতের শীষে লাফিয়ে বেড়ানো ঝিঁঝিঁ পোকাদের ভুলে যায়।
লাল শাড়ির ঘোর প্যাঁচ লেগে মতির চোখ ডাগর হোয়ে ওঠে।
আর বেমালুম পথ ভুল হোতে থাকে আতির। গোলাপঝাড়
আরো প্রকাশ হোতে থাকে, তাকে ডাকতে থাকে আর সে
রাগতে থাকে। তার মুখ থেকে থুথু বেরোতে চায়, বোরোয় না,
দলা পাকানোর চেষ্টা করে শুধু।
তখন চৈত্র মাসই ছিলো। দুপুরই ছিলো। আতির পোষমানা
পোকাটা গর্জে ওঠে, তাকে ফুসলাতে থাকে। সে তার সামনে
মতির শক্ত লিঙ্গ ছাড়া আর কিছু দেখতে পায়না। তার খুব রাগ
হয়। রাগে ফুলতে ফুলতে ঘরের মধ্যে ছটফট করতে থাকলে
তার পোকা তাকে বাইরে গোলাপঝাড়ের কাছে টেনে আনে।
আতি বিধ্বংসী হোয়ে উঠছে য্যানো! সে হয়তো মতিকে আর
সহ্য করতে পারছিলো না। গোলাপঝাড়ের কাছে যেতেই সে
তার লিঙ্গের টনটনে তেজ টের পায়। তার হাতের ছোয়া লাগতেই সে
মতির লিঙ্গের মতো শক্ত হোয়ে ওঠে আর আতি
মতিকে মনে করে নিজের হাতেই বির্যপাত ঘটিয়ে হাতের
তালুতে ধরে পানি ছিটানোর মতো গোলাপঝাড়ে ছিটিয়ে দেয়।
তখন চৈত্রের দুপুর ছিলো। ভয়ঙ্কর এক বাঁকড়ির ঘুর্ণিচাক
অসীম প্রতাপে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে গোলাপঝাড়ের চারপাশ ঘিরে
ফেলে, পাক খেতে থাকে, পাক খেতে খেতে চারপাশ ঘিরে
ফেলে যেন কারা শলাপরামর্শ করে নেয়…
মর্মান্তিক গোলকধাঁধায় আটকা পড়ে মৎস্যজিরাফ সময় কেটে
গেলে গোলাপঝাড় বা আতিকে কোথাও দেখা গ্যালো না আর!
