কবিতা
খুলি বিক্রেতা
কমে গেছে জাদুবিদ্যার চর্চা
বজ্রপাতে নিহত মানুষের খুলি নিয়ে
জাদুকরদের আস্তানার সামনে ঘুরছে গোপনে
বিক্রি হচ্ছে না
উপরন্তু পায়ে বাড়ি খাচ্ছে
ফেলে দেয়া খুলিগুলো
প্রকৃত ভগ্নাংশের মতো তার সামনে ক্ষীণ আলো
দালানের আড়ালের মেশিনগুলো
মধ্যরাতেও ক্ষুধার্তের মতো
কড়কড় শব্দ করছে
গৃহপালিত দর্পণ
জিরো এবং পৃথিবী দুইদিকে সামান্য চাপা
আর তোমার কোমড়ও
সামান্য কয়েকটা ব্রনের দাগে বেঁকে যাচ্ছে গৃহপালিত দর্পণ
তোমার অনুপস্থিতিতে অন্ধকার পোষে সে
চাপা কোমড়ে দড়ি বেঁধে
তোমারই বিম্ব নেমে পড়ছে প্রতিবিম্বের খাঁদে
অসুস্থ আয়নাটিকে— শূন্য-আকৃতির
পাথর চাপা দিয়ে রেখেছি
তৃতীয় মাত্রা
থ্রিডি চৌবাচ্চায় দৈর্ঘ্য প্রস্থ ডুবে গেলে
বাকি থাকে শ্বাস
স্থলে— নিজের দৈর্ঘ্য প্রস্থ হাতে নিয়ে
মেপে মেপে দেখি
শ্বাস খুলে ওজন করি
বুঝি— শ্বাসের জন্য আমার জামাকাপড়ের
এক ইঞ্চিও বরাদ্দ নেই