কবিতা
উচ্চতার বাস
পাহাড়ের চূড়া ধরে উচ্চতা দাঁড়িয়ে আছে
তাকে অতিক্রম করে চলে যাচ্ছে—
এক একটি মেধাবী সেকেন্ড
চূড়ায় ঘাসের সারি। ছুঁয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন বাতাশ
ছোট ঘাস ছোট পাতা সদা সুপ্রসন্ন
ঝিঁপোকারা গলা ফাটিয়ে রে জোছনা খুটে খায়
পাহাড়ের উচ্চতায় রাত এলো একা
মুখ থুবড়ে পিছে পড়ে রইলো সূর্যালোক
হে পাহাড়! কোথায় নিবাস উচ্চতার?
ভেসে যাচ্ছে অদৃশ্য সেকেন্ড এপার-ওপার
কোমরের পথে
ক্রমে আরো চিকন হয়েছে তোর নির্জন কোমর
কোমরে ব্যাপক মায়া— নিপাট ত্বকের চরাচর
সর্ব অঙ্গে পাখি ওড়ে, ভিতরে গহন নবরস
তোকে চুষে বড়ো হলো ফুটবল— ঘোরে মহাশূন্য
পরনে ফুলের শাড়ি, ফুল তুমি পুস্পগন্ধময়
শুধু ক্ষণকাল ক্রীড়ারত— নিরুত্তর প্রজাপতি
তুই সারাক্ষণ তুই; তোকে ঘিরে আদিগন্ত বিশ্বকাপ
যতোদূর অব্ধি দেখা যায় সীমাহীন দেহতরী
পদচিহ্নে ফুটে আছে আঁকিবুকি বাজারের পথ
এবার টিকিট কেটে ঢুকে যাবো বস্ত্রের ভিতরে
যতো ডুবি দেখি নারীটির নারী, ভরা ঋতুকাল
ঘনঘোর শ্যাম দেহে ভব নিত্য কক্ষপথ
কোমরের পথ ধরি। ক্রমে আরো আধোছায়া তোর মুখ
জোড়াস্তন নৃত্য করে দূর মায়াচারী নক্ষত্র আলোয়
সুতোয় বোনা ঘর
অশেষ সুতোয় বোনা— কী দারুণ কাপড়ের বস্ত্র
ভিতরে প্রচুর বিদ্ধ ছোট ছোট ঘর
সেইসব ছোট ঘরে তাঁতির নিঃশ্বাস
বয়ে যায় মৃদুকাল শুধু তার নিরব বাতাশ
বস্ত্র-টস্ত্র ক্ষিপ্ত দশা, বিবাস্তবতার সংবহন
ধারাপাত নিদ্রা বংশ সংশয় অথবা ভাতের প্রস্তাব
কাপড়ের ভিতরে সুতোয় সরু পথে
তুমি রুদ্ধশ্বাসে ছুটে যাচ্ছো ঘর থেকে ঘরে