কবিতা
মাথাটা হেলে রাখলে গড়িয়ে পড়ে তরল বীজ
১
মাথাটা ফাঁকা করে ফেলেছি
তুমি রাগ কোরো না
শত চেষ্টা করেও কোনো দানাবিন্দু ঢোকানো যখন গ্যালো না
তখন আর কাজ কী এই অকেজো মাথায়
মাথাটা এক পোচে কেটে তোমার পেটের মধ্যে গুজে দিলাম, জন্মকে নিয়ন্ত্রণ করোনি তো এখনো
নতুন মাথা পাবো এই আনন্দ আমি ভাগ করে খাই বিপুল বিষের সাথে
২
আমার মাথাটা সৌররেশমে রিঠে দিয়ে সাফ কোরে দেয়ালে হ্যালান দিয়ে রেখে দিয়েছি
এখন আর তার কোনো বিভৎসতা নেই
মাথা খাটানো নেই
তুমি চাইলেই নতুন কোরে তোমার অনুগত শর্টকার্ট ঘিলুকোর্মা আপলোড দিয়ে কাজে লাগাতে পারো
৩
হিম হোয়ে বসে আছে একটা বকের গলা পথ
বকের উঁচু গলা দেখলেই নিজেকে নেতা নেতা মনে হয়
এই চিন্তা থেকেই মাথার ভিতর ঢুকে গেছে বক, শহর থেকে মজে আসা কিমাকার খাদ্যনালী দিয়ে
অসাড় ঘোলমাথাটা খুলে খুলে নেমে যেতে চায়, দেহ থেকে রান্নাঘরের দিকে ঝুকে যাওয়া ছাড়া তার
আর কোনো মাথাব্যথা নেই
মাথাটাকে ঝালমরিচ বাটনায় চুবিয়ে রেখে দিলাম
সময় পেলে তুমিও চেখে নিতে পারো, কিসে যে কী হয়
আভাস
১
বিদ্যুৎ চমকের মতো নিরালা আভাস ভেসে যায় কোলাহলে
২
সন্ধ্যা থমকে পড়া রাতে জানালায় দাঁড়িয়ে ঝড়ো বাতাসের প্রবাহকে দ্যাখো, দেখতে থাকো ঢিলেঢালা নিজের
গুনাহ্ আর বিদ্যুতায়ন প্রকল্প। বিদ্যুৎ চমকের শুরু থেকে বিলীন বিন্দু পর্যন্ত যেতে যেতে অনন্ত
জিজ্ঞাসার সূত্রকে ছুঁয়ে ফেলেছো কি- ছুঁয়েছো ভেবে নাও, এভাবে তোমার চিন্তারা জ্বলে ওঠে, নিভে যায়।
আমি কি আমার চিন্তাকে প্রলম্বিত করতে করতে মায়ের জঠরে শুক্রাণু প্রবেশের মুহূর্তে প্রবেশ করাতে পারি? চিন্তার গতিবেগ ডিমোলো সূত্রের গোড়ার দিকে মুখ রেখে যেতে যেতে থমকে যায় এবং প্রতিবারই
অভাবনীয় ঝুকিকে পাশ কাটিয়ে আলকুঁশি থেকেই শুরু করতে হয়। কতোবার তোমার কাছে আসি; মনে হয় ছুঁয়েই
আছি, ছুঁয়েছি কি? গটগট বাবুয়ান সিঁড়ি ভেঙে উঠে যাওয়া নয় শুধু, আছড়ে মুচড়ে পড়া অপমানিত মুখভঙ্গির
ফাঁসে ফেঁসে যেতে যেতে মনে হয়, এই তো ছুঁয়ে ফেললাম ফস্ করে জ্বলে উঠা অনন্ত জিজ্ঞাসার উঁকি মারা
ধুতরো চোখ। ধরতে গেলেই ফসকে যায়! আভাসের দিগবলয় তুমি মজিয়ে রাখো ধাপে ধাপে অনন্ত আস্ফালন
জুড়ে।
ধ্যানেরও আয়ু আছে। বিদ্যুৎ চমকের মতো। কোলাহলে তলিয়ে যায়- যৌবনের ভাঁজ খোলা লজ্জারাঙার মতো।