কবিতা
সম্পাদ্যঃ ০১-ত্রি ও তিন কেন ০৩ নয়
একজন লাল লাটিম ফিরে এসে গল্প শোনাচ্ছে; একজন সঙ্গীতকার তার গানটিকে শীতলপাটি বানাচ্ছে আর মৌবিশারদ (মৃত) প্রেমিকাকে সাধছে মধু…
[সবগুলো ঘটনাকে দত্তক নিতে চেয়েছিলো উপশহরীয় মস্করা]
তো…একজন নৈঋতা সমদ্দার আমার কলিগ ছিলো, আরেকজন ইপ্সিতা বসাক। বিন্দুটি অস্পষ্ট হলেও (সরল/বক্র) রেখাগুলো আলো মেখে পষ্ট হয়েছিলো বলে প্রেমের আকার ছিলো ত্রিভুজাভ।
ফলে, ত্রিভুজ সন্ধ্যাটি এইভাবে বিভক্ত হলো…
(আ)
তৈ | জ
ল (মি) ল
চি র র
ত্রে ঙ ঙে
যি ধ তি
নি নু নি
নৈ ঋ তা | ই প্সি তা
বালিশের নাম ডিমনেশিয়া! গতরাতের মাথাকে ভুলে যাচ্ছে আর চুলের রঙও। নীল টি-শার্ট শেষতক মনে কিছু দুঃখ নিয়ে এলো।
ত্রিভুজ প্রেমের একটাই গল্পে ঘূর্ণি আনছে বিষাদের লাল লাটিম…
সম্পাদ্য-০২: লিভিং উইদ দ্য ডেডস
[নিম্ন রূপে
৩টি অণুসিদ্ধান্ত প্রদত্ত হইলো; মৃতের সুখ ও
শুশ্রুষার স্বরূপ আঁকিয়া দিও—]
(০১)—বইটি নিদ্রা বিষয়ক, স্বপ্নের কথা বলে। সমালোচনাশাস্ত্রে তিনি শব্দের ভাগাড়, স্বপ্ন বলতে কিছু নাই, সবই আবছায়া, নরম চরিত্রের।
(০২)—খুনখুশি বলে যে দ্ব্যর্থক সিম্ফোনি, তার গায়ে রক্তস্বল্পতার দাগ। বেদনাই ব্রহ্মাস্ত্র, অন্তত আজকের জন্য। তারিখটি লুকিয়ে রাখো।
(০৩)—এই থেকে ওই পর্যন্ত, মানে ১৩ মাইল দূরত্বের নিচে চকচক করছে খরা। বৃষ্টি চাই(না)! অন্ধকারে সব চতুর্কোণ বিছানাই কবর কবর।
……………………………………………
. .
. লাশঘুম, পাশফেরে, একা! .
. .
……………………………………………
মরে গেছি, এইরকম একটি ফিকে মনখারাপ। তারও বেশি মনখারাপ তোমাকে ছেঁড়ে এসেছি বলে। ডিপ্রেশনের আসল রোগি অমাবশ্যার চাঁদ।
সম্পাদ্যঃ ০৩—ট্রুথ অর ডেয়ার
ঈর্ষাকে বললাম; তার ছিলো সরীসৃপের পা! গত বছরের ছেঁড়া লিফলেট ছিলো তার। ইয়োগা ক্লাসে দেখা যেত বেঁকেচুড়ে নিজেরই ভেতর ঢুকে চুপ হয়ে আছে।
সত্য ও সাহস!
ঘন্টা তিনেক ট্রুথ অর ডেয়ার খেলা হলো;
ট্রুথ—
১। হাসির আরেক নাম মাস্টারবেশন! (মার্জিনে দু’-চার শব্দ )।
২। লালপাঁপড়ির ফুল মানেই পলিগামাস নয়!
ডেয়ার—
১। কিছু আব্রু, কিছুটা আহ্বান দিচ্ছি; আর পাবে ঠাণ্ডা এক বিয়ারের ক্যান
২। সমস্ত মিথ্যে আর পোষা ধুলোবালি দিয়ে ইমারত আঁকো, অথবা পরিত্যক্ত প্রেমের সৌধ-সমাধি!
টুপ
টাপ
টাপ
টুপ
পেন্সিলে আঁকা যত জল;
বিরহের ইরেজারে গুম…!
ট্রুথ অর ডেয়ার? ট্রুথ…জল তুমি, তুমি ঈর্ষা। ডেয়ার…লেটস সুইম।
সাহস করে সাঁতারে নেমেছি। সত্যিটা বলিনি। প্রেম, আমি সাঁতার জানিনা…।
সম্পাদ্য ০৪—থ্রিসাম ড্রিমস
ইদানিং—তিনটি বিন্দুতে দাঁড়িয়ে সবচেয়ে বেশিবার আকাশ দেখি আমি।
বিন্দু ০১—রহমতপুর বাজার, যেখানে সিরাজ মেম্বার
খুন হয়েছিলেন গতবছরের আগের বছরের
আগেরবার।
বিন্দু ০২—আমোদাবাদ মেন্টাল এ্যাসাইলাম, যেখানে
সূর্যটি ঘন ঘন অস্ত যায়!
বিন্দু ০৩—গৌরিপুর রেলজংশন, যেখানে বর্ষা ছাড়া
আর কোন ঋতু নেই!
সুস্পষ্ট দাঁড়িয়ে থাকাসহ তিনটি বিন্দুর পূর্ণাঙ্গ জীবনী তোমাকে পাঠালাম। তুমি আঁকো, আমাদের স্বপ্ন ও সম্পর্কের অন্তিম ডায়াগ্রাম।
(অ)
সু
খে
র
ট
বে—রো প ন ক রে ছি মৃ ত্যু—
অযথা দাঁড়িয়ে থেকো না।…
তোমার একাকীত্ব আর সন্ধ্যার সব্জিবাজার!
পাগলাগারদে ছারপোকা মারছে প্রিয় প্রাক্তন প্রেমিক—
তুমি পালাবে বলেই গৌরিপুরে ট্রেন আসে বর্ষায় বর্ষায়!
তিনটি বিন্দুতে দাঁড়িয়ে সবচেয়ে বেশিবার আকাশ দেখো তুমি। তিনটি বিন্দুতেই আমি একা অকারনে ট্রাফিক সামলাই!